জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থাভাবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে পটুয়াখালীর দশমিনার উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালভার্ট এলাকার মো. হানিফ সিকদারের মেয়ে অধম্য মেধাবী মারুফার। গত ১১ জানুয়ারি ‘জিপিএ-৫ পেয়েও অধরা মারুফার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন’ শিরোনামে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর মারুফার পাশে দাঁড়িয়েছে দশমিনা উপজেলা ছাত্রদল। তারা মারুফার পড়ালেখার সব দায়িত্ব নিয়েছেন।
জানা যায়, ৫ম শ্রেণিতে বৃত্তি ও ৮ম শ্রেণিতেও সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয় মারুফা। অর্থের অভাবে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে লেখাপড়া করা মেধাবী মারুফার পড়াশোনা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। অর্থাভাবে একাদশে ভর্তি হতে পারছিল না সে। রিকশাচালক বাবা ঘরভাড়া করে ৬ সদস্য পরিবার নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পরে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ যুগান্তরে প্রকাশ হলে উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নজরে এলে তারা মারুফার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রোববার মারুফার হাতে নতুন বই ও দশমিনা সরকারি আবদুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।
দশমিনা উপজেলা ছাত্রদলের একাংশের নেতা ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল বশার জানান, যুগান্তরের সংবাদটি দেখে আমরা উপজেলা ছাত্রদল মারুফার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার ভর্তি ও নতুন বই কিনে দেই। আমরা মারুফার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।